সাবেক সংসদ সদস্য বুবলীসহ ১৭ জন রিমান্ডে

রাজধানীর তেজগাঁও থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলীসহ ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আনোয়ার হোসেন খান হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন– সিরাজগঞ্জের মাধাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাইমুর রহমান নাইস, গাজীপুরের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোল্লা, সোলাইমান মিয়া, মো. আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, সিহাব শাহরিয়ার, আওয়ামী লীগ কর্মী মামুন, ইনজামুল হক, ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ পালোয়ান। এছাড়া আরও রয়েছেন- সাবেক সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুল হক হিরক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ও শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের নেতা মো. আলম মাদবর, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক শাকিল, আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ হোসেন বাবু।
নথি থেকে জানা গেছে, গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশেষ অভিযানে মিরপুর থেকে তামান্না নুসরাত বুবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর একটার দিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তেজগাঁও থানার ডেইলি স্টারের সামনে থেকে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে পান্থপথ অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়। কিছুক্ষণ পর জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালাচ্ছিল, এ অবস্থায় ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানার ও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে পুলিশ।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার পরদিন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের ২৫ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।