‘সুষ্ঠু নির্বাচন যেন উপহার দিতে পারি, আপনাদের সহযোগিতা চাই’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন আমরা উপহার দিতে পারি, সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের ইন্টেনশন গুড। ইলেকশন কমিশন রিয়েলি ইন্টারেস্টেড টু ডেলিভারি ইলেকশন। এই মেসেজটা আপনারা দিয়ে দেবেন এবং নারী ভোটাররা যাতে ভোট সেন্টারে আসে।’
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটের সময় গাড়ি ঘোড়া বন্ধ থাকে। ফিজিক্যালি ডিজেবল যারা, তারা যাতে কমফোর্টেবলি আসা-যাওয়া করতে পারে, এগুলো আমাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা সম্ভব, মানে গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাতে ভোটকেন্দ্র হয়।’
এদিন সকালে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে দেশের জন্য কিছু করতে এটাকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি।’
সিইসি বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে ফেলেছি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও পরে আলোচনা করব।’
সভায় উপস্থিত সাবেক ইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কোথায় কোথায় গ্যাপ থাকে, যেখান দিয়ে নির্বাচনে কারচুপি হয় সেটাও আমাদের জানাবেন, যেন ব্যবস্থা নিতে পারি। কীভাবে কীভাবে জালিয়াতি করা যায়, সে অভিজ্ঞতা আপনাদের আছে, ম্যানিপুলেশন ঠেকানোর জন্য কোথায় কোথায় হাত দেওয়া দরকার সে পরামর্শ দেবেন।’
সিইসি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়। তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ ছিল। সেটা কমিয়ে এনেছি। আমরা পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। একটি মডেল বের করেছি। পারব কিনা জানি না, আমরা চেষ্টা করব। আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট, একটা হাইব্রিড পদ্ধতি বের করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদিরা ভোট দিতে পারবেন।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্রান্তিলগ্নে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। আমার জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। শেষ সুযোগ দেশের জন্য কিছু করার। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই লক্ষ্য। সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় দুই দফার সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীরা অংশ নেন।