এবার ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় বাংলাদেশের ৯ উদ্যোক্তা
উদ্ভাবনী ধারণা আর উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ত্রিশ বছরের কম বয়সী যেসব তরুণ এশিয়ার দেশগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের নিয়ে প্রতি বছর ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ শিরোনামে তালিকা প্রকাশ করে থাকে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।
গতকাল সোমবার ফোর্বস তাদের চলতি বছরের ষষ্ঠ বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি, রিটেইল অ্যান্ড ই-কমার্স এবং সামাজিক প্রভাব তিনটি শ্রেণিতে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে নয় জন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা স্থান করে নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২১ সালের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া লিস্ট’ বলছে, শেহজাদ নূর তাওস প্রিয়, মোতাসিম বীর রহমান এবং মীর সাকিব, এই তিন জন এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি বিভাগে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। যার মধ্যে শেহজাদ নূর তাওস প্রিয়, মোতাসিম বীর রহমান তালিকায় স্থান পেয়েছেন তাঁদের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআইভিত্তিক উদ্যোগ ‘গেজ’-এর জন্য। আর মীর সাকিব তাঁর স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাকের জন্য ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট বা সামাজিক প্রভাব ক্যাটাগরির আওতায় বাংলাদেশের তালিকায় স্থান পেয়েছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিজভী আরেফিন ও শমী চৌধুরী এবং অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের আহমেদ ইমতিয়াজ জামি। এ ছাড়া এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন হাইড্রোকুয়োপ্লাস স্টার্ট-আপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাহিন রোহান রাজিন ও রিজওয়ানা হৃদিতার নাম। তালিকায় রিটেইল অ্যান্ড ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম পিকাবুর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মরিন তালুকদার।
২০১১ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকা তৈরি করতে শুরু করে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নয় বাংলাদেশি তাঁদের অসাধারণ কাজের মাধ্যমে এ তালিকায় এসেছিলেন।