বজেট
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/04/photo-1433436065.jpg)
আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বরাদ্দ গেল অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৪৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট উপস্থাপনের সময় নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেন। তবে কী কারণে বা কোন কোন খাতে ব্যয় হেব সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা, গত বছর যা ছিল ১৫ কোটি। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য কিছুটা কমিয়ে ৮০২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, গেল অর্থবছরে যা ছিল ৮০৯ কোটি।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৭ হাজার ১১২ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৪ হাজার ৫০২ কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৮ হাজার ৩৭৭ কোটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ১২ হাজার ৭০৩ কোটি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থ বিভাগের জন্য ৯১ হাজার ৪৪৬ কোটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাত হাজার ৯১২ কোটি, সেতু বিভাগে আট হাজার ৯৫৩ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য সাত হাজার ৭৫১ কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি মুহিতের নবম বাজেট উপস্থাপন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এটি তাঁর টানা সপ্তম বাজেট ঘোষণা। দেশের ৪৪তম প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এতে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭।
বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে প্রায় ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। বাকি দুই হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।