‘কাফফারা দিচ্ছে পোশাকশিল্প’

চলতি বছরের শুরু থেকে প্রায় তিন মাস দেশে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের পোশাকশিল্প প্রায় ডুবতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কাফফারা দিচ্ছে পোশাক শিল্প।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের উপস্থিতিতে এক সভায় এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি। এ সময় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিকেএমইএ) পোশাকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পোশাকশিল্পকে ডুবন্ত তরী হিসেবে এটিকে উদ্ধার করতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ বড়ই অসহায় অবস্থায় আছে। এখানে কাজ করে ৬৫ লাখ শ্রমিক যার ৭০ শতাংশই নারী। শিল্পটি আজ ডুবতে বসেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াওসহ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। ক্রেতারা এখন বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে তাদের মনে।’
ইউরোপ আমেরিকার ক্রেতারা এখন ভিয়েতনামমুখী হয়েছে জানিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘এই ধ্বংসপ্রায় পোশাকশিল্পের ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা দিয়েছে বাজেটে করারোপ। অতিরিক্ত করারোপের কারণে মুখ থুবড়ে যাবে এই খাত।’
এরপর অর্থমন্ত্রীর কাছে ব্যবসায়ী নেতারা স্মারকলিপি পেশ করেন। সেখানে বলা হয়, পোশাক তৈরি খাতসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পে আগে উৎসে কর ছিল ০.৩০ শতাংশ। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে তা বাড়িয়ে পুরো ১ শতাংশ করা হয়েছে।
একে আবারও আগের জায়গায় নেওয়ার দাবি জানান পোশাকশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া মূলধনী যন্ত্রপাতি আনার ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি ও সেবা খাতের বকেয়া মূসক মওকুফেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘এসব দাবি আমার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। এর সঙ্গে গোটা সরকারের ব্যবস্থাপনা জড়িত। আলাপ-আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।’