শর্ত ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

আগামী অর্থবছরে কোনো শর্ত ছাড়াই আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। আবাসন খাতে সুদিন ফিরিয়ে আনতে আসছে বাজেটে কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকারও তহবিল চেয়েছে তারা।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিহ্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, জিএফআই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর বিশাল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। তাই অর্থপাচার রোধে আয়কর অধ্যাদেশ সংশোধন করে, কোনো সংস্থার প্রশ্ন ছাড়াই আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি তাঁদের। এ ছাড়া নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন হলে নির্মাণ ব্যয় বাড়বে। তাই আবাসন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। অন্যদিকে ফ্ল্যাট বা প্লটের রেজিস্ট্রেশন খরচ কমিয়ে এনে ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব।
লিয়াকত আলী ভূইয়া বলেন, আবাসন শিল্প রক্ষার্থে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রি-ফাইন্যান্সিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। যাতে করে ক্রেতাসাধারণ চাহিদামতো ঢাকা শহরের আশপাশে তাঁদের ফ্ল্যাট কেনার জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করতে পারে। আর এর জন্য একটা তহবিল করা প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশের তুলনায় অনেক বেশি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাবদ ব্যয় চার থেকে ৭ শতাংশের বেশি নয়। উচ্চ রেজিস্ট্রেশন ব্যয়ের ফলে অপ্রদর্শিত টাকার পরিমাণ বাড়ছে। অপ্রদর্শিত অর্থ কমাতে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ৭ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
লিয়াকত আলী বলেন, প্রতিবছর দেশ থেকে টাকা পাচারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অর্থপাচার রোধ করা যাবে যদি কোনো শর্ত ছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া যায়। আর কোনো বিনিয়োগকারী আবাসন খাতে তার কালো টাকা ব্যবহার করলে তাঁকে ১০ বছর কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের আবাসন খাত এখন নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় যদি নতুন ভ্যাট আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর হয়, তালে হলে এই শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক মো. জহির আহমেদ, মো. মহিউদ্দিন, কামাল মাহমুদ, আসাদুজ্জামান, মাসুদা সিদ্দিকী প্রমুখ।