জামিন পেলেন প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের তিন পরিচালক

শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মামলায় প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের তিন পরিচালক জামিন পেয়েছেন। তাঁরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক অনু জাহাঙ্গীর। আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, আসামিরা ১৯৯৬ সালে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অপারেট করেছেন। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর ক্ষতি হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর রায়ের দিন ধার্য থাকলেও আজ মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মন্ঞ্জুর করেন। রায়ের দিন তাঁদের আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মামলায় প্রিমিয়িার সিকিউরিটিজ, এর চেয়ারম্যান এমএ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক সৈয়দ এইচ চৌধুরী ও অনু জাহাঙ্গীরকে আসামি করা হয়।
১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেনে প্রতারণা করেন। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ারের ক্ষেত্রে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টির। আর এক লাখ এক হাজার শেয়ারের লেনদেন অনিষ্পন্ন থাকে, যার বাজারদর প্রায় আট কোটি টাকা।
আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করেন, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লঙ্ঘন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে আদালতে যুক্তি-তর্কে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম এ রশিদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জহুরুল হক, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।