প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর

প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে পুঁজিবাজারসংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইবুনাল। আজ বৃহস্পতিবার মামলার বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম এ রশিদ খানের সাক্ষ্যের ওপর জেরা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় জেরা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তারপর শুনানির নতুন তারিখ ঘোষণা দেন বিচারক।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও র্যাংকস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক এবং এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেন। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার লেনদেনে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের এক লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে এক লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশি ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছেন।
এসব শেয়ার অপারেটের মাধ্যমে আসামিরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২১ ধারার বিধানমতে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে আসামিরা বিধান লঙ্ঘন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়।