লাফার্জ সুরমার ইপিএস কমেছে ৪৭.৫৪ শতাংশ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আজ বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৮ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৮২ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে দাঁড়ায় ১১ টাকা ৪১ পয়সা।
২০১৫ সালের হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটি ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ায় কোম্পানিটির ক্যাটাগরি স্থানান্তর করা হয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য চূড়ান্ত ৫ শতাংশ ও অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এই হিসাব বছরে সমন্বিত আয় হয়েছে ২৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৪৩ পয়সা ও শেয়ারিপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ১১ টাকা ৪১ পয়সা।
সেটেলমেন্ট রেজুলেশনে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণায় স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ না থাকায় এর আগে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এ কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতেই থাকতে হয়েছিল কোম্পানিটিকে।
ডিএসইর (সেটেলমেন্ট অব ট্রানজেকশন) রেজুলেশন, ২০১৩-এর ২-এর বি ধারায় বলা হয়েছে, ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি অর্থ যে কোনো কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান করে কিন্তু ইংরেজি পঞ্জিকা বছর শেষে ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ। আবার একই রেজুলেশনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে জমা হওয়ার প্রতিবেদন পাওয়ার পর ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে। এ দুটি ধারার কোথাও অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ বিষয়ে করণীয় কিছু উল্লেখ নেই।
২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে বেশির ভাগ হিসাব বছরে এ কোম্পানির লোকসান হয়েছে। তবে ২০১২ ও ২০১৩ সালের সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে মুনাফা হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
ডিএসইতে আজ এ শেয়ারের দামে ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা রয়েছে। আগের কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর দাম ছিল ১১৫ টাকা ২০ পয়সা। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজার দামের ভিত্তিতে এ শেয়ারের দাম-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৫৭ দশমিক ৬।