বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রথম দায়মুক্তি পেলেন শামীম

কারসাজির মাধ্যমে ২০১০ সালে বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সাত্তারুজ্জামান শামীম। আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর এ রায় দেন।
মামলার যুক্তিতর্কের বিবেচ্য অংশ তুলে ধরে বিচারক বলেন, সাত্তারুজ্জামান শামীমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। এটি এই ট্রাইব্যুনালের চতুর্থ রায়। এর মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলায় আসামি বেকসুর খালাস পেলেন।
এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন গ্রিন বাংলা কমিউনিকেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়াত নবীউল্লাহ নবী। ২০১৩ সালের জুন মাসে নবীউল্লাহ নবী মারা যাওয়ায় তাঁকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নবীউল্লাহ নবীর ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে মামলায় সাত্তারুজ্জামান শামীমকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। মামলায় বাদীপক্ষের (বিএসইসি) কর্মকর্তা ও পুলিশসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেয়।
ট্রাইব্যুনালে সাত্তারুজ্জামান শামীম ও তাঁর আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা খান।
রায় শেষে সাত্তারুজ্জামান শামীমের আইনজীবী এ এস এম আমিনুল হক বলেন, মামলার আসামি কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। পুলিশের তদন্তেও তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তার পরও বিএসইসি তাঁকে আসামি করে মামলা করেছিল। কিন্তু আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে বিএসইসি ব্যর্থ হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পায় বিএসইসি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসির উপপরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।