কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরু বেক্সিমকো ফার্মার
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গাল্ফ অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অঞ্চলের কোনো দেশে বাংলাদেশি কোম্পানির ওষুধ রপ্তানি এটাই প্রথম।
এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানির গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানা প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজাসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শুরুতে অ্যাজমা রোগের প্রতিষেধক অ্যাজমাসল ও বেক্সিট্রল এফ এবং ব্লাড প্রেসারের ওষুধ এমডোকাল কুয়েতে রপ্তানি করা হবে। এ বছরই আরো কয়েকটি ওষুধ রপ্তানির তালিকায় যোগ হবে। ছয়টি আরব দেশ নিয়ে সংগঠিত পারস্য মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ওষুধের মোট বাজার প্রায় নয় বিলিয়ন (৯০০ কোটি) মার্কিন ডলার এবং কুয়েতের বাজার প্রায় এক বিলিয়ন (১০০) ডলারের।
কুয়েতে ওষুধ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বেক্সিমকো ফার্মার বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সুবিধার প্রশংসা করে ভবিষ্যতে কুয়েতে বেক্সিমকোর ওষুধ রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘৫৪টি দেশে বেক্সিমকোর ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। গত সাত বছরে বেক্সিমকো ফার্মা ওষুধ রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব নিয়ম-কানুন সম্পন্ন করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ রপ্তানি করতে চায় কোম্পানিটি। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১৫ মিলিয়ন (এক কোটি ৫০ লাখ) ডলার।’
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘বেক্সিমকো ফার্মা উন্নত দেশের বাজারে নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গালফ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দ্রুত প্রসারমান বাজারগুলো এখন রপ্তানির জন্য প্রাধান্য পাচ্ছে। জিসিসির দেশগুলো আমাদের ওষুধ রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মার জন্য ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হলো।’