ঈদের আগে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ

তিন দফা কমানোর পর বেড়েছিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম। সেখান থেকে একবার কমে পরে চার দফা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ছয় হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
গত বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকায় বেচাকেনা হয়। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ পাঁচ হাজার ৩০৩ টাকায় কেনাবেচা হয়।
গত ২৬ মার্চ থেকে গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ চার হাজার ৪৯৮ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল।
গত ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ চার হাজার ৪৯৮ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল।
গত ১৭ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক লাখ ২৫ হাজার ৫৭৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ তিন হাজার ৪৭১ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল।
গত ৯ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকায় বেচাকেনা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৪ হাজার চার টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ এক হাজার ৬৪০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। গত ৫ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ তিন হাজার ৫৫৮ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক লাখ ২৪ হাজার ২৮০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ দুই হাজার ৩৭৫ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল।
এর আগে গত ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দুই হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। ওই সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক লাখ ২১ হাজার ৩৭৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৯ হাজার ৮৯০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল।