সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের আদর্শ : আবুল কালাম

‘সম্মিলিত পরিষদ’ আদর্শ নির্ভর দল, আমাদের আদর্শ হলো সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা করা—মন্তব্য করে পরিষদের প্যানেল লিডার ও চৈতি গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম বলেন, “আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। যেকোনো পরিস্থিতিতে সদস্যদের কল্যাণে কাজ করব। বিজিএমইএ আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে পোশাকশিল্প রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এক সঙ্গে কাজ করব।”
রাজধানীর উত্তরায় সোমবার (২৬ মে) রাতে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ কার্যালয়ে আসন্ন নির্বাচনের প্যানেল পরিচিতির শেষদিনে আবুল কালাম এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম বলেন, প্রথম বছরে ১২ হাজার ডলার রপ্তানি করা পোশাক খাত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ। নির্বাচনে জয় লাভ করলে ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে কাজ করবো। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে নানামুখী প্রশিক্ষণ দিবো। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো। ডিজিটাল বিজিএমইএ গঠনসহ মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে বৈশ্বিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাব। সম্মিলিত চেষ্টায় গড়ব অত্যাধুনিক বিজিএমইএ।
আবুল কালাম আরও বলেন, পোশাক খাত এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সব ধরনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
পরিচিতির অনুষ্ঠানে নিজের দলের ১২ দফা নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেন সম্মিলিত পরিষদের লিডার আবুল কালাম। এ সময় আবুল কালাম বলেন, এটি শুধু একটি নির্বাচনি ইশতেহার নয়, এটি হলো সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী রোডম্যাপ, যা পোশাক শিল্পকে একটি স্মার্ট ও ফিউচার ফিট শিল্পে রূপান্তর করবে।
১২ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে—এসএমই সাপোর্ট সেল ও নীতি সহায়তা; বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা প্যাকেজ; ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর তৈরি পোশাক খাতের কর্মীবাহিনী : মধ্য-পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়ন; অর্থায়ন সহজকরণ : গ্রিন ফান্ডিং ডেস্ক ও ব্যাংকিং সহায়তা ডেস্ক; বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ : প্রচলিত দেশের বাইরেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানো; এলডিসি পরবর্তী প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শক্তিশালীকরণের জন্য বিকল্প প্রণোদনা নীতি; বাণিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার : বন্ড সুবিধা, ভ্যাট সরলীকরণ ও নিয়ন্ত্রক সহজিকরণ; রপ্তানি সহায়তা ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল, নীতিনির্ধারণ বুদ্ধিমত্তা সেল ও ডিজিটাল রূপান্তর সেন্টার; সামাজিক নীতিমালা উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউনিফাইড কোডি অব কনডাক্ট বাস্তবায়ন; ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সঙ্গে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রূপান্তর : সার্কুলারটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিকার্বোনাইজেশন ও প্রতিযোগিতামূলক শ্রেষ্ঠত্ব; ‘মেইড ইন বাংলাদেশ—প্রিমিয়ার এডিশন’ : বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের নতুন অবস্থান ও পরিচিতি; অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি।
বিজিএমইএর নির্বাচন কমিশন পাঁচদিন প্যানেল পরিচিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যা গত শনিবার শুরু হয়। প্রথম তিনদিন ঢাকায় পরিচিতি সভা হবে। পরে আরও দুদিন পরিচিতি সভা হবে চট্টগ্রামে। আগামী ৩১ মে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে ৭৬ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। বিজিএমইএ নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৩৫ পরিচালক নির্বাচিত হবে। বিজয়ীরা আগামী ২০২৫-২৭ মেয়াদে বিজিএমইএ দায়িত্ব পালন করবেন।