‘আলোচনা করে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সময় ঠিক করতে হবে’

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হতে হবে, তার বিকল্প নেই জানিয়ে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ বলেন, কখন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হবে সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রাইভেট সেক্টরকে বসেই সময় ঠিক করতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন হলে সমস্যা কী হবে তা নিয়েও আলোচনা করতে হবে।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
নেপাল ও লাওসের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরে মাশরুর রিয়াজ বলেন, রপ্তানি বাজার বিশ্লেষণে আমাদের বাজার তুলনামূলকভাবে অনেক বড়, নেপাল ও লাওস সেখানে অনেক পিছিয়ে আছে। তাই নেপাল ও লাওসের গ্র্যাজুয়েশন সহজ হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি কঠিন।
মাশরুর রিয়াজ বলেন, আমাদের জ্বালানি সংকট দূর করতে হবে। সরকার উদ্যোগ নিলেও এটির তেমন অগ্রগতি হয়নি। কাস্টমসে অনেক সমস্যা আছে। এগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে আমাদের শুল্কহার ভিয়েতনাম ও ভারতের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিজিএমইএ সভাপতির পক্ষে সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান, বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বাপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ।