করোনাভাইরাস : ঢাবি বন্ধের দাবিতে অনশনে ৪ শিক্ষার্থী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবিতে অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন তারা।
অনশনকারীরা হলেন- টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের মো. হাসান বিশ্বাস, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. জোনাইদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত প্লাবন ও একই বিভাগের কে এম তুর্য। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ছাত্র সাফওয়ান চৌধুরী তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অনশনকারীদের দাবি, করোনাভাইরাস আজ বিশ্বায়নের প্রভাবে সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। সময়োপযোগী পরিকল্পনা না থাকায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক সঞ্চার হয়েছে।
অনশনরত হাসাব বিশ্বাস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে গণরুম সমস্যা অন্যতম। বৈধ সিট না পেয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের। তুলনামূলক ছোট ক্যাম্পাসে অত্যাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসবাস করায় আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া হল ক্যান্টিন, চায়ের দোকান, খেলার মাঠ, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, কলাভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার, কার্জন হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল, যেখানে শিক্ষার্থী সমাগম অনেক বেশি, সেসব জায়গা থেকে খুব সহজেই ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
হাসাব বিশ্বাস আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লি, কেরালা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্রিশগড়ের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করার জোর দাবি জানান অনশনকারীরা। তারা ঘোষণা করেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।