প্রক্টরের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করলেন ঢাবির ৪ শিক্ষার্থী

প্রক্টরের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গতকাল শনিবার থেকে অনশন করছেন ওই চারজন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেন তাঁরা। ওই সময় প্রক্টরের সঙ্গে ডাকসুর প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
অনশন করা শিক্ষার্থী জোনাইদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের সবসময় সম্মান রয়েছে। আমাদের প্রক্টর স্যার, ডাকসু প্রতিনিধিরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামীকাল সোমবার জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সে সভা পর্যন্ত আমরা আমাদের অনশন স্থগিত করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি সভা সিদ্ধান্তে আমাদের দাবির প্রতিফলন না দেখা যায় তাহলে কাল আবারও অনশনে বসব।’
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার দাবিতে অনশন করেন- টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের মো. হাসান বিশ্বাস, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. জোনাইদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত প্লাবন ও একই বিভাগের কে এম তুর্য।
গতকাল অনশনকারীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে গণরুম সমস্যা অন্যতম। বৈধ সিট না পেয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের। তুলনামূলক ছোট ক্যাম্পাসে অত্যাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসবাস করায় আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
এদিকে আজ রোববার থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতে জরুরি সভা ডেকেছে কর্তৃপক্ষ। জরুরি সভার কথা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। এদিকে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডাকসুর পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যে কথা সেটা আমাদেরও কথা। মনের দিক থেকে সব কথা কাছাকাছি। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা বসে নেই। সোমবার সব বিভাগের চেয়ারপার্সন, হল প্রভোস্ট, ইনস্টিটিউশনের পরিচালকদের নিয়ে আমাদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে।’