রাবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত ১০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। দুই দফা মারামারিতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩৯ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আন্তবিভাগ ক্রিকেট খেলায় দর্শন বিভাগের সঙ্গে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ম্যাচ চলছিল। এ সময় দর্শন বিভাগের স্নাত্ক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে বিভাগের শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধানের জন্য চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন।
মিটিং চলাকালে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও শেখ সাদী বের হয়ে চলে আসেন। এ সময় আগে থেকে ডিনস কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থানরত জীবন লোকপ্রশাসন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে সাইফুল ও সাদীকে মারধর করেন। মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে সাইফুল ও সাদীর সহপাঠীরা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন।
এ সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থানরত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা মারধর থামাতে গেলে তাঁরাও মারধরের শিকার হন। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মারামারির এ ঘটনায় লোকপ্রশাসন, দর্শন ও মার্কেটিং বিভাগের প্রায় ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মারামারির বিষয়ে শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বলা হয়েছে।’
জানতে চাইলে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তা অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমাদের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’