রাবিতে ছাত্রকে পিটিয়ে মাথা ফাটালেন ছাত্রলীগের দুই কর্মী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সোহরাব হোসেন নামের এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগের দুই কর্মী। মারধরে শিক্ষার্থীর বাঁ হাত ভেঙে গেছে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসকরা জানান, সোহরাবের মাথার তিন স্থানে ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাঁ হাতের দুই জায়গা ভেঙে গেছে।
এদিকে সোহরাবকে পেটানোর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
হামলার শিকার সোহরাব হোসেন ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ শামসুজ্জোহা হলে থাকেন। অপরদিকে মারধরকারীরা হলেন মো. আসিফ ও হুমায়ন কবীর নাহিদ। তাঁরা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানায়, রাতে সোহরাব কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে হলে আসে। ওই সময় আসিফ ও নাহিদ কেন সোহরাব তাদের হলে নিয়ে এসেছে এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। পরে সোহরাব ও তাদের বন্ধুদের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান আসিফ ও নাহিদ। সেখানে অবরুদ্ধ করে সোহরাবকে মারধর করেন তারা। একপর্যায়ে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ তুলে কাঠ দিয়ে সোহরাবের মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। মারধরে সোহরাবের বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে যায়। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে মারধরের বিষয়ে ছাত্রলীগকর্মী আসিফ বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন থেকে সোহরাবের সঙ্গে আদিত্য ও সোহান নামের দুই বহিরাগত হলে আসা-যাওয়া করছিল। গতকাল রাতে তারা মাদক সেবনের জন্য হলের ছাদে ওঠে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে আমার রুম থেকে ল্যাপটপ চুরি হয়। তাই সন্দেহ হওয়ায় আমি ও নাহিদসহ বেশ কয়েকজন তাদের ডেকে রুমে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে আমাদের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহরাবের মাথা ফেটে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে নাহিদকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর পিটুনিতে আহত সোহরাব হোসেন। ছবি : এনটিভি