রাবিতে ৯ জীবনবৃত্তান্তে ১৪১ জনকে নিয়োগ!

মেয়াদের শেষ দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অ্যাডহকে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। শুরু থেকেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই জীবনবৃত্তান্ত জমা না দিয়েই নিয়োগ পেয়েছেন। ১৪১ জনের মধ্যে মাত্র নয়জন ছাড়া অন্যদের জীবনবৃত্তান্তই পায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অ্যাডহকে নিয়োগ পেতে স্থায়ী পদে নিয়োগের মতো আবেদন করতে হয় না। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদন হিসেবে প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংস্থাপন শাখায় জমা রাখার নিয়ম প্রচলিত। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র নয়জনের জীবনবৃত্তান্ত পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র তদন্ত কমিটি নিয়ে গেছে। অন্যদের জীবনবৃত্তান্ত বা কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে উপাচার্যের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা পেয়েছি। গত ৫ মে কাগজপত্র প্রস্তুত করে ৬ মে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র নয়জনের জীবনবৃত্তান্ত পেয়েছি। অন্যদের জীবনবৃত্তান্ত মেলেনি। ফলে এই নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান তাঁর মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে নয়জন শিক্ষক, ২৩ জন কর্মকর্তা, ৮৫ জন নিম্নমান সহকারী ও ২৪ জন সহায়ক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন। এদিকে এই নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।