জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফলাফলের ভিত্তিতে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, চলতি বছর থেকে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। এ ছাড়া সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষে আর নয়, বরং ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ১৭তম বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হবে।
উপাচার্য এ পর্যন্ত কার্যকর হওয়া ২৮টি, বাস্তবায়নাধীন নয়টি ও ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে পুরস্কৃত করা হবে।
আগামীতে পয়লা ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু, ২০১৭ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আইটিভিত্তিক এবং ২০১৮ সালের মধ্যভাগ থেকে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। তিনি আরো বলেন, ‘সেশনজট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের পর এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হবে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ অর্থাৎ শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মপ্রচেষ্টা নিয়োজিত করা।’
অধিবেশনে বার্ষিক রিপোর্ট ও ১৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার রাজস্ব এবং ১৬৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্নয়ন বাজেট পাস করা হয়।
সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তথা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর ড. এম এ বারীর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভবন রয়েছে, তার নাম অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তার পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।