ইবির ভর্তি পরীক্ষায় অপরাধী ধরার ৩০ সেকেন্ডে শাস্তির ঘোষণা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অপরাধী ধরার ৩০ সেকেন্ডে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক এ মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কর্তৃপক্ষ। সভায় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলীর সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক আতাউল হক, ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুস্তফা যুবাইর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক, ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক আসিফ খানসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় অপরাধীদের ধরার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাবে। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্যতা দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করতে চাই। আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অপরাধীদের নিশ্চিতকরণসহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করবে গোয়েন্দাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক মহড়া, মিছিল, শোডাউন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অপরাধীদের তৎক্ষণিক বিচার নিশ্চিত করতে থাকছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’