ঢাবি থেকে ইবি, প্রক্সি দিতে গিয়ে এক বছরের জেল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বদলি পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে ধরা খেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দুজন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা পাওয়া দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী ফেরদৌস হাসান জয় ও যশোর এম এম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির রহমান। জয়ের বাড়ি নাটোরের জিউপাড়ায় ও সাব্বিরের বাড়ি যশোর জেলায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কাজী ফেরদৌস হাসান জয় ও সাব্বির রহমান বদলি পরীক্ষা দিতে আসেন। চেহারার সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির মিল না থাকায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ফটকে দায়িত্বরত সহযোগী অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান ও সহকারী অধ্যাপক এম এম নাসিমুজ্জামান তাঁদের আটক করেন। পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রক্টর অফিসে এনে আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী ফেরদৌস হাসান জয় জানান, তিনি দেবাশীষ সরকার নামের এক শিক্ষার্থীর বদলি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
যশোর এম এম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির রহমান জানান, তিনি তন্ময় রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর বদলি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
পরে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পাবলিক পরীক্ষাসমূহ অপরাধ আইন ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী কাজী ফেরদৌস হাসান জয় ও সাব্বির রহমানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। কুষ্টিয়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম কমল এ রায় দেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।