রাবি ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগনেতার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এই জালিয়াতিতে রাবির এক ছাত্রলীগ নেতা তাঁকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী মাহমুদুল আলম।
আজ বৃহস্পতিবার রাবি ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ ও শেষ দিনে ভ্রামমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া জেরিন এ রায় দেন। এ ছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আরো চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে রাবি ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১৭ জনকে বহিষ্কার করা হলো।
আর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে উত্তর পাঠিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. আতিকুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে।
আজ বহিষ্কৃতরা হলেন নওগাঁর হাবিবুর রহমান, একই জেলার রাণীনগরের মিরাট, রাজশাহী বাগমারার শরিফুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জামিল সরোয়ার।
জালিয়াতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মো. তারিকুল হাসান বলেন, ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মাহমুদুল আলম রাজু হলে ফোন ব্যবহার করার সময় ধরা পড়েন। ফোন থেকে উত্তরপত্রের একটা ম্যাসেজ পাওয়া যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর অপরাধ প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
প্রক্টর আরো বলেন, ওই ফোন নম্বর যাচাই করে দেখা গেছে তা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. আতিকুর রহমান সুমনের। এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় এই জালিয়াতের সঙ্গে জড়িত মোবাইল ডিভাইস র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫-এর কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব ৫-এর কমাণ্ডার আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলে রাবি ছাত্রলীগে সহসভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বলেন, ‘সুমন যদি দোষী হয়ে থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সংগঠন ব্যবস্থা নেবে।’