রাবিতে গভীর রাতে হল ছেড়েছেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানা গভীর রাতে সহযোগীদের নিয়ে হল ত্যাগ করেছেন।
এদিকে, দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু ও তাঁর অনুসারীরা আজ রোববার সকালে মহড়া দেন বলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগ জানায়, গতকাল শনিবার বিকেলে মারামারির জের ধরে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানাকে রাত ৯টার দিকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর পর থেকে অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করছিলেন। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহা. আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘হলের ২২১, ২২২, ২২৪, ২৩২ ও ২৩২ নম্বর কক্ষগুলো আমরা সকালে ফাঁকা দেখতে পাই। এ সময় কক্ষগুলোতে কিছু জিনিসপত্রও পাওয়া যায়। তবে সেখানে কারা ছিল বা চলে গেছে সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। কক্ষগুলো ফাঁকা দেখে আমরা সিলগালা করে দিয়েছি।’
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে মিছিল বের হয়। মিছিলটি দলীয় তাঁবুতে এলে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁরা ড. জোহা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কেউ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে রাবি ছাত্রলীগকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিজানুর রহমান রানার অনুসারীরা ছাত্রলীগ কর্মী অনিক মাহমুদ বনিসহ তিনজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। বনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলামের ভাতিজা।
শহীদুল ইসলাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। এ দিনই রানাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়।