জবির প্রশ্নপত্র ফাঁসে শিক্ষকরাই জড়িত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এ পর্যন্ত চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে শিক্ষকরাই জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন জবির উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান।
আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে মুঠোফোনে উপাচার্য এ কথা বলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার দুই ঘণ্টা আগেই প্রশ্ন পাঠানো হয়। তখন অনেক শিক্ষকের
কাছেই আগেই প্রশ্ন চলে যায়। সেই সুযোগে কিছু অসাধু শিক্ষক মোবাইল ফোনে ছবি তুলে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়ে দেয়।
জবি উপাচার্য বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি মাথায় রেখে আগামীতে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে।
এদিকে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, যদি শর্ষের ভেতর ভূত থাকে, তাহলে সেই ভূত তাড়াবে কে? শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁরা অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে জাতি কার কাছে শিক্ষা নেবে?
গত ২১ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন এবং ২৮ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগে আটক করে জবি প্রশাসন।