হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (৪ মে) রাত ১০টার দিকে ইবি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন—বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, নাহিদ জোয়ার্দারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান’, ‘শিক্ষার্থীদের একশান, ডাইরেক্ট একশান’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘হাসনাতের ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘দিয়েছি ত রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই যদি হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো ব্যক্তির ওপর হামলা হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? পিলখানা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায়ই আজও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিষিদ্ধকরণ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।’
সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘ব্যক্তি টু ব্যক্তি হামলার মাধ্যমে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চলছে। এর আগেও সারজিসের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। এসব হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের একমাত্র দাবি—যে দল জনগণের ওপর বারবার হামলা করেছে, সেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আজ সে হামলার শিকার হয়েছে, আগামীকাল যে কেউ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের আহ্বান—সিন্ডিকেট সভায় অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’