সোহরাওয়ার্দীতে পুলিশ বক্স, রাজু ভাস্কর্যের পাশের গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলনেতা মো. হিমেল ওরফে সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আজ বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকা এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজু ভাস্কর্যের কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে একটি প্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ বন্ধ করা যায়। এ ছাড়া উদ্যানের সার্বিক উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের জন্য রমনা পার্ককে মডেল ধরে একটি সমীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সরকারিভাবে গঠিত একটি কমিটি পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবে এবং পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ও আলোর ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় একটি স্থায়ী পুলিশ বক্স স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের শোক হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন দুপুর পর্যন্ত সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন। ঢাবির ভৌগোলিক জটিলতা বিবেচনায় বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ মাঝে মাঝে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হলেও সাম্য হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটা জরুরি। একজন শিক্ষক হিসেবে এ ঘটনায় তারা গভীরভাবে শোকাহত।