রাতের মধ্যেই আশা করি ফল ঘোষণা করতে পারব : জাকসুর সিইসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মো. মনিরুজ্জামান।
অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে ভোট গণনা শুরু করেছি। ভোট গণনা শুরুর পর থেকে সেটা অবিরত চলমান ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ সকাল ৯টার দিকে আমাদের এক প্রিয় সহকর্মী ও পোলিং অফিসার ভোট গণনা কক্ষের কাছাকাছি এসে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে দ্রুত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমরা উনার মৃত্যুতে অত্যন্ত শোকাহত। আমরা উনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। একইসঙ্গে উনার পরিবারের সবার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি।’
জাকসুর এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে—কোনো কোনো জায়গায় প্রচার চালানো হচ্ছে যে, ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কথাটি একেবারেই সঠিক নয়। আমাদের প্রিয় সহকর্মী হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাওয়ায় আমরা কিছুক্ষণ ভোট গণনা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিলাম। তাছাড়া জুমার নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য কিছুক্ষণ ভোট গণনা বন্ধ ছিল। তারপরে সেটা চলমান আছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আশা করি আজ রাতের মধ্যেই আমরা ভোট গণনা সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব। আমরা এখনই সুনির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না, যেহেতু হাতে (ম্যানুয়াল) ভোট গণনা করছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব গণনার ব্যবস্থা করেছি। গণনা কার্যক্রমে আরও বেশি সংখ্যক লোক নিয়োজিত করেছি। আমি আশা করি, আজকে রাতের মধ্যেই আমরা ভোট গণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।’
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে আটজন, এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন নারী।
এবারের জাকসু নির্বাচনে পূর্ণ ও আংশিক মিলে মোট আটটি প্যানেল অংশ নেয়। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে। বর্জন করে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ এবং স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ। এ ছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের একটি প্যানেল ও কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচন বর্জন করেন।