সাবের হোসেন চৌধুরীর নগদ টাকা বাড়লেও কমেছে আয়
ঢাকা-৯ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তার হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা পোস্টগ্রাজুয়েট উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসা ও রাজনীতি। ২০১৮ সালের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে তার নগদ টাকা বৃদ্ধি পেলেও কমেছে আয়ের পরিমাণ।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী সাবের হোসেনের রয়েছে নগদ দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এক কোটি ৮৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪০২ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে রয়েছে ২৭ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকা। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ টাকার। এ ছাড়া বাস, ট্রাক, মোটরগাড়িসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৫৬৩ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার।
২০১৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়, সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে নগদ টাকা ছিল তিন লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫১ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত ছিল ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৫ টাকার। এ ছাড়া বাস, ট্রাক, মোটরগাড়িসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ৩০ হাজার টাকার।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী, সাবের হোসেন চৌধুরীর বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় ২১ লাখ ৮০ হাজার ১২৮ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৬১ লাখ ১০ হাজার ৮৯৭ টাকা। চাকরি থেকে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে তার আয় ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫১ টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে এই সংসদ সদস্যের বাৎসরিক আয় ছিল ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যবসা থেকে তার আয় ছিল ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬২ টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী সাবের হোসেনের অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য পাঁচ কোটি ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৫ টাকা। আর তার স্ত্রীর কাছে অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮০৫ টাকা।
২০২৩ সালে হলফনামায় সাবের হোসেন চৌধুরীর স্ত্রীর নগদ আছে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৮০৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৮ কোটি ৫২ লাখ দুই হাজার ৮৫৪ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে আছে ২১ কোটি ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৩২০ টাকা। পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে রয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৯৭২ টাকা। স্বর্ণ আছে তিন লাখ টাকার।
২০১৮ সালে সাবের হোসেন চৌধুরীর স্ত্রীর কাছে নগদ ছিল সাত লাখ ৫২ হাজার ৩৩৩ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল দুই কোটি ৫৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৪ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে ছিল তিন কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ১৯০ টাকা। সঞ্চয়পত্র ছিল ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৬ টাকা। স্বর্ণ ছিল তিন লাখ টাকার।