খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিনের হলফনামা অনুযায়ী বার্ষিক আয় সাত কোটি ২৮ লাখ টাকা। শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল মেসার্স আজমীর নেভিগেশন ও মেসার্স ফারদিন ফিশের মালিক। বার্ষিক আয়ের মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে চার লাখ ৩৩ হাজার, ব্যবসা থেকে তিন কোটি ২৩ লাখ, শেয়ার থেকে তিন কোটি ১৪ লাখ ও ব্যাংক থেকে মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয় করেন।

২০২৩ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাতে নগদ রয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার, ব্যাংকে জমা ১৩ কোটি ৬৪ লাখ, এক কোটি টাকার এফডিআর, তিনটি কোম্পানির শেয়ার আছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার, ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও কার্গো ব্যবসায়ে তার বিনিয়োগ ১৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পূর্বাচল নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাতটি জমি ও খুলনার দিঘলিয়ায় দশমিক ৩৮ একর জমি রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় সেখ সালাহউদ্দিনের তথ্য ছিল, বার্ষিক আয় তিন কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৪০৫ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল এক কোটি ৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪০৪ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় তিন লাখ ৯০ হাজার, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত (ডিভিডেন্ড) থেকে এক কোটি ৮০ লাখ, ব্যাংক মুনাফা ২৬ লাখ ৭০ হাজার এক এবং মিটিং ফিস বাবদ ৬৪ হাজার টাকা বার্ষিক আয় ছিল তার। নির্ভরশীলদের বাড়ি ভাড়া, ডিভিডেন্ড, ব্যাংক মুনাফা ও অন্যান্য খাতে বার্ষিক আয় ছিল দুই কোটি ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৯ টাকা।

এছাড়া ২০১৮ সালের হলফনামা অনুসারে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার ছিল নগদ আট কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ও তার স্ত্রীর চার কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ১১৩ টাকা ও তার ওপর নির্ভরশীলদের এক লাখ তিন হাজার ৬৬৭ টাকা। তার নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল দুই কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৩ টাকা আর স্ত্রীর নামে ব্যাংক হিসাবে ছিল দুই কোটি ২৫ লাখ পাঁচ হাজার ৮১৫ টাকা। তিনটি কোম্পানিতে তার শেয়ার ছিল ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর শেয়ার ছিল ২০ কোটি টাকার। এ ছাড়া পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে তার বিনিয়োগ ছিল চার কোটি ২৭ লাখ এক হাজার ৩৮২ টাকা ও তার স্ত্রীর দুই কোটি ৮৫ লাখ ছয় হাজার ৬৮৩ টাকা। এ ছাড়া তার স্ত্রীর বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল ইত্যাদির বিবরণী (পরিমাণ, অর্জনকালীন সময়ের মূল্য) এক কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত তিন লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ ছিল। শেখ সালাহউদ্দিনের সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য (কার্গো ও ফিসিং ট্রলার) বিনিয়োগ ছিল ৩০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ টাকার।

এছাড়া ২০১৮ সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার এক কোটি ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। আর এক কোটি পাঁচ লাখ ৪২ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে তার। তার স্ত্রীর ৩১ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং এক কোটি ৩৯ লাখ ছয় হাজার ৬৩৫ টাকা মূল্যের দালান রয়েছে।