কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবে সরকার
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ইশতেহারে শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রম নীতি বিষয়ক ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘শূন্য থেকে শুরু’ করা খাতের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রম নীতিতে বলা হয়েছে, আইএলও কনভেনশন এবং আইনে প্রদত্ত শ্রমিক অধিকার ও কল্যাণমূলক শর্তাবলি পালন অব্যাহত থাকবে। নারীর শ্রমে অংশগ্রহণের বাধা দূর করা এবং নারী শ্রমিক সংগঠন সুসংহত করা হবে। পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাকশিল্প কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করেছি। গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৯৯৬ সালে ৮০০ টাকা মজুরি পেত; আওয়ামী লীগ সরকার তা বাড়িয়ে ১৬০০ টাকা করে। পরবর্তীকালে ২০০৯-২০২৩ মেয়াদে আমরা এ মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করি।
সরকারে এলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনার অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, বিধিসম্মত শ্রমঘণ্টা নির্ধারণ, নিয়োগের নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, চিত্তবিনোদন এবং শ্রম আইনে নির্ধারিত শ্রমিক কল্যাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।