‘হাতি-ইঁদুর’
হাতি ও ইঁদুর-প্রাণিজগতের দুই মেরুতে এদের অবস্থান। একটি স্তন্যপায়ী, স্থলচর প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আর অপরটি ক্ষুদ্রতম স্তন্যপায়ী স্থলচর প্রাণীদের একটি। দুটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্য একটি প্রাণীতেই পাওয়া গেলে কেমন হবে? কল্পনা করে চিন্তাশক্তি খরচের প্রয়োজন নেই। এমন প্রাণী বাস্তবেই আছে, যার নাম ‘এলিফ্যান্ট শ্রু’। বাংলায় একে বলা যায় ‘হাতি-ইঁদুর’।
পতঙ্গভুখ ‘হাতি-ইঁদুর’ মূলত আফ্রিকার প্রাণী। ইংরেজিতে এক এলিফ্যান্ট শ্রু বা জাম্পিং শ্রু বলা হয়। ইঁদুরটি ‘শ্রু’ নামক বংশের এবং এর আকৃতিও বেশ ছোট। এমনকি হাতের তালুতে এটে যায় একটি শ্রু। তবে এদের নাকের কাছটা বেশ বাঁকানো, শুঁড়ের মতো। এই থেকে নাম হয়েছে এলিফ্যান্ট শ্রু বা হাতি-ইঁদুর। আর পৃথিবীতে হুমকির মুখে থাকা প্রাণীগুলোর একটি এই ‘হাতি-ইঁদুর’।
অদ্ভুত গঠনের হলেও হাতি-ইঁদুর খুব একটা পরিচিতি পায়নি। এমন দুটি ইঁদুর সম্প্রতি আনা হয় যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের চিড়িয়াখানায়। আনার পর পরই সাধারণ মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ইঁদুর দুটি। যুক্তরাজ্যের প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করেছে।
হঠাৎ আলোচনায় হাতি-ইঁদুর আসার কারণ হিসেবে একটি ছবির কথা উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি মিডিয়া। গত অক্টোবরে চেস্টার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে থাকা একটি হাতি-ইঁদুরের ছবি তোলে। শুঁড় উঁচু করে গোলাপি ছোট জিব বাড়িয়ে ধরেছে বাদামি ডোরাকাটা ইঁদুরটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওই ছবি নিয়ে তুমুল আলোচনা পায়। আর দর্শনার্থীও বেড়ে যায় চেস্টার চিড়িয়াখানায়। এই দর্শনার্থীদের অধিকাংশই ভিড় জমায় হাতি-ইঁদুরের কাছে।
চেস্টার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষের আকর্ষণের কথা চিন্তা করে চিড়িয়াখানায় আরো ১০টি ‘হাতি-ইঁদুর’ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।