রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বিশ্বের দীর্ঘতম রাজত্ব এখন যাঁর হাতে

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। রানির মৃত্যুর পর বিশ্বের দীর্ঘতম রাজত্ব এখন ব্রুনাইয়ের সুলতানের। এই সুলতান ৫৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছেন।
আরব নিউজ ও এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলখিয়া প্রায় ৫৫ বছর ধরে রাজত্ব করছেন। বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে সিংহাসনের অধিকারী হিসেবে থাকার রেকর্ড ছিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে।
রানির মৃত্যুর পর এবার সেই তকমা পেতে যাচ্ছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান। বর্তমানে জীবিত রয়েছেন এমন রাজা, রানি বা সুলতানদের মধ্যে ব্রুনাইয়ের সুলতানই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসনে আসীন।
বলখিয়া সিংহাসনে বসেছিলেন ১৯৬৭ সালে। এরপর ৫৫ বছর (৫৪ বছর ৩৩৯ দিন) ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেটের চেয়ে চার বছর বেশি সময় রাজত্ব করছেন বলখিয়া। দ্বিতীয় মার্গারেট বর্তমানে দীর্ঘতম রাজত্বের অধিকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে।
৮ সেপ্টেম্বর মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করেছেন তিনি। গত জুনে শাসনের ৭০ বছর পূর্ণ করেন তিনি। রানির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ব্রুনাইয়ের সুলতানের। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সাম্মানিক পদ দেওয়া হয়েছিল ব্রুনাইয়ের রাজপরিবারের সদস্যদের।

যুক্তরাজ্যের রানির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাবান ব্রুনাইয়ের সুলতান। তাঁর অনেক ক্ষমতা। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী তিনি এসব ক্ষমতা পেয়েছেন। জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। তিনি সরকারের প্রধান। এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয় তাঁর হাতে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণও তাঁর হাতেই।
সুলতান বলখিয়া ও ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেটের পরে আছেন সংযুক্ত আরব আমিতের শারজাহর সুলতান বিন মোহাম্মদ আল কাশিমি।
স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে গত বৃহস্পতিবার মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। শনিবার বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর লন্ডনের পশ্চিমে উইন্ডসর ক্যাসেলে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মরদেহ। সেখানে খ্রিষ্টীয় রীতি মেনে প্রার্থনা করা হবে।