নরসিংদীতে হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/03/photo-1456981583.jpg)
নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন আজ বৃহস্পতিবার ভোরে, অন্যজন সকাল পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতালে মারা যান।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দির ইউএমসি জুট মিল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল ইসলাম ও রাকিব মিয়া। নিহত দুজন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। পুলিশের দাবি, তাঁরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় ভাগদী এলাকার চাঁদা না দেওয়ায় দুজনকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদা না দেওয়ায় দুজনকে হত্যার ঘটনায় রাতেই জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ রাত ৩টার দিকে শহরের ইউএমসি জুট মিলের পার্শ্ববর্তী বালুমাঠে অভিযান চালায়। পুলিশ বালুমাঠে অবস্থান করা সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেললে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জোড়া খুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জহিরুল, রাকিব ও হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাঁদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে রাকিবের মৃত্যু হয়। জহিরুলের লাশ জেলা হাসপাতালে ও রাকিবের লাশ ঢামেকে রয়েছে বলে জানান ওসি।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, নিহত ব্যক্তিরা সবাই জোড়া খুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক আইনে মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি ও তিনটি চাপাতি উদ্ধার করে।