সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা থাকলে সরকারকে সতর্ক করবে ইসি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/10/11/images_1.jpg)
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অথবা সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হলে সরকারকে কঠোরভাবে সতর্ক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতার আশঙ্কা থেকে সিইসির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বৈঠকে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। এখনও তারা আশঙ্কা করেন, আগামীতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন, আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নিই। আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে, তা যেন করি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি, বিষয়টা আসলে দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট হবে, সেখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে, পত্র দিয়ে সরকারকে, সরকারের ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়—যারা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের আমরা অবহিত করব, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে সরকারকে সতর্ক করে দেব, সাম্প্রদায়িক সংঘাত কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিত নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা তাদেরও অনুরোধ করেছি, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা আপনাদের শঙ্কার কথাটা ব্যক্ত করে রাখেন।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখব। নির্বাচনোত্তর হোক, নির্বাচনোত্তর না হোক, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয়, এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের।’
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।