আমীর খসরুর শেষ চার মামলায় জামিন শুনানির আদেশ বিকেলে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/21/amir-khasru_0.jpg)
রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার অভিযোগের শেষ চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে বিচারক আদেশের জন্য বিকেল ৩টায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী) ঢাকার সিএমএম আদালতে বিএনপিনেতা আমীর খসরুকে নাশকতার আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে এবং এসব মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। সেদিন দুপর সোয়া ২টার পরে এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলা ৬০(১০)২৩, পল্টন থানার নাশকতার মামলা ০৭(১১)২৩, রমনা থানার নাশকতার মামলা ২৪(১০)২৩ ও রমনা থানার নাশকতার মামলায় ২৫(১০)২৩ বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরে অন্য চারটি মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকার কারণে বিচারক নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে শুনানির জন্য আজ রোববার দিন নির্ধারণ করেন।
আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে চার মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় বিচারক আমীর খসরুকে জামিন দেন। এরপরে ওই দিন বিকেলে আরও চার মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নথি শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আজ রোববার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ জামিন মঞ্জুর হলে আমীর খসরুর কারামুক্ত হতে বাধা থাকবে না।’
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এই আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। প্রথমে দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর বাকি আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে এবং এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চারটি এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।