প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ কর্মী গড়তে হবে : ডিএসইর এমডি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/19/dse_0.jpg)
পুঁজিবাজার যদি তার প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়, সেক্ষেত্রে উন্নত ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। এ বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের নতুন টেকনোলজির ব্যবহারের জন্য দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিকুঞ্জে ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে চার ব্রোকারেজ হাউজকে ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই হাউজগুলো হলো- ডোরিন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইনোভা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং মিকা সিকিউরিটিজ লিমিটেড। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের উপ মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের।
অনুষ্ঠানে ড. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘ডিএসইর যে সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) রয়েছে সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার কাঠামো রয়েছে। এটা সব ব্যবহারকারীর জন্য সমান। ব্রোকার হোস্টেড ওএমএস মাধমে একজন ব্রোকার তার বিনিয়োগকারীদের নিজের সুবিধামত ভ্যালু এডেড সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারে। আমাদের নতুন টেকনোলজির ব্যবহারের জন্য দক্ষ কর্মীবাহীনী গড়ে তুলতে হবে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি পর্যায়ক্রমে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার মান অধিকতর উন্নতি হবে। যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারে সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের বিশেষ অঙ্গীকার জানিয়ে ড. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘সে লক্ষ্যেই দেশের পুঁজিবাজারকে ডিজিটাল পুঁজিবাজার থেকে স্মার্ট পুঁজিবাজার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আমরা সব সময় মনে করি, শেয়ারবাজার যদি তার প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়, সেক্ষেত্রে উন্নত ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প কিছু নেই। এ বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, এই প্রথমবারের মতো একজন নতুন ট্রেকহোল্ডার নিজস্ব ওএমএস-এর মাধ্যমে ট্রেড পরিচালনা করতে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ডিএসই ২০২১ সাল থেকে এপিআই ভিওিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে ৫২টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে। ইতোমধ্যে ৯টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন গ্রহণ করেছে এবং ৬টি ব্রোকার হাউজ নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেনও শুরু করেছে।
ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ বলেন, ‘আজকের এই চারটি ব্রোকার হাউজের ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি শুধুমাত্র সার্টিফিকেট প্রদান নয়। বরং এটি উত্কর্ষ, উদ্ভাবনের প্রতি নিরলস অঙ্গীকার এবং একটি বিকশিত বাজারের ল্যান্ডস্কেপে এগিয়ে থাকার নিরলস সাধনার প্রতীক। আসুন আমরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা রাখি আহবান করে সাত্তিক আহমেদ শাহ বলেন, ডিএসই সব সময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বাজারের সকল অংশগ্রহণকারীদের উন্নতির জন্য একটি অনুকুল পরিবেশ প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ডোরিন ক্যাপিটালের গ্রুপ সিএফও মো. মেহেদী হাসান, ইনোভা সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুইয়া, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ এবং মাইকা সিকিউরিটিজের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিফ জামান।