বোমার ভয় ছাড়া রাত কাটাল ফিলিস্তিনিরা, মুক্ত ৯০ নারী-শিশু
দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম শঙ্কামুক্ত রাত কাটিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দারা। মনে ছিল না ঘর বা তাবুতে বোমা পড়ার ভয়। এরই মধ্যে গাজায় এসে পৌঁছেছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ নারী ও শিশুকে বহনকারী বাস।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রেড ক্রসের দুইটি বাস গাজার পশ্চিম তীরের শহর বেইতুনিয়ায় এসে পোঁছায়। খবর আল জাজিরার।
এ সময় বাসগুলোকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠে ফিলিস্তিনিরা। আতশবাজি, গাড়ির হর্ন, স্লোগান ও চিৎকারের মধ্যে দিয়ে উদ্যাপন করে শত শত শহরবাসী। কেউ কেউ বাসের উপর উঠে হামাস, ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকাসহ অন্যান্য সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পতাকা মেলে ধরে।
সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি নারীরা বাসের ভেতর থেকে হাসতে হাসতে বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছিলেন।
যদিও রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হতে কিছুটা দেরি হওয়ায় উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায় পড়ে ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় আবার স্বস্তি ফিরে আসে।
প্রতীক্ষিত হত্যাযজ্ঞের বিরতিতে আশ্রয় শিবির ছেড়ে নিজেদের পুরোনো এলাকায় ফিরতে শুরু করে গাজাবাসী। যদিও তাদের ফেলে যাওয়া স্মৃতি, বাড়িঘর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
১৫ মাসের ধ্বংসযজ্ঞে ইতোমধ্যে গাজা উপত্যকার অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেক ভবন আর রাস্তার চিহ্নও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবুও নিজ এলাকায় ফিরতে পেরে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস অনুভব করছে এসব বাস্তুহারা বাসিন্দারা।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে ২০২৩ সালে ডিসেম্বরের এক সপ্তাহ বোমা হামলা বন্ধ ছিল। এর পর থেকে বোমার শব্দ আর মৃত্যুর শঙ্কা ছাড়া ঘুমাতে পারেনি গজার বাসিন্দারা।