বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে শহীদ সবুজ মিয়ার (১৮) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে শহীদ সবুজের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কোনামালঞ্চ গ্রামের কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়।

এ সময় মেলান্দহ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম জাহান উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন সবুজ মিয়া। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে গ্রামের বাড়ি মেলান্দহের কোনামালঞ্চ এলাকায় সামাজিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।

সবুজ মিয়া নিহতের ঘটনায় তাঁর মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত সবুজ মিয়ার মরদেহ তোলার আদেশ দেন। সবুজ মিয়া কোনামালঞ্চ গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও জরিনা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থেকে আশুলিয়া এলাকায় ইজিবাইক চালাতেন। দাফনের পাঁচ মাস ২৫ দিন পর তাঁর মরদেহ তোলা হলো।

মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম জাহান বলেন, তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত সবুজ মিয়ার মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।