আগাম তরমুজ ছুঁয়ে আছে রঙিন স্বপ্ন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/tormuj_thum.jpg)
পটুয়াখালীর বাউফলে আগাম তরমুজের ফলনে খুশি চাষিরা। রমজানের বাজারে তরমুজ তোলার অপেক্ষায় তারা। অধিক লাভবানের আশায় চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে তরমুজ গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
তরমুজ চাষিরা জানান, এ উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জমিতে তরমুজের চাষ হলেও গত চার বছর ধরে তরমুজের আবাদ বাড়ছে। উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের চরফেডারেশন, চর শৌলা, চর কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট, চর রায় সাহেব, চর মিয়াজান, দিয়ারা কচুয়া, ধুলিয়া ইউনিয়নের চর বাসুদেবপাশা ও কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ তরমুজ চাষ হয়ে থাকে। এসব এলাকায় নদী-খালের পানিতে লবণাক্ততা নেই।
উপজেলার চরব্যারেটে চলতি মৌসুমে ১২ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষি মো. সেলিম ব্যাপারী (৪২)। যার মধ্যে সাত একর জমিতে তিনি আগাম জাতের তরমুজ করেছেন। যার ফলও এসেছে। অধিকলাভের আশায় রমজানের শুরুর বাজার ধরতে খেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
কৃষক সেলিম জানান, ইফতারের জন্য তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে। রজমানের প্রথম দিকে বাজারে ফল কম থাকায় দাম ভালো পাওয়া যায়। রমজানের বাজারকে টার্গেট করেই তিনি আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা, আগাম তরমুজ বিক্রি করে তার রঙিন স্বপ্ন পূরণ করবেন।
আরেক কৃষক মো. অলিউর রহমান (৩৮)। তিনি চরকালাইয়া এলাকায় সাত একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। যার মধ্যে চার একর আগাম জাতের। তার গাছেও ফল এসেছে। তিনিও রমজানের প্রথম দিকের বাজারে ফল তুলবেন বলে আশাবাদী।
কৃষক অলি বলেন, তরমুজ চাষে খরচ বেশি। তবে, ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকলে লাভও বেশি হয়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/10/tormuj_in.jpg)
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, সাধারণত আমন ধান তোলার পর জানুয়ারি থেকে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফলন আসে এপ্রিলে। তবে, ডিসেম্বরে আগাম তরমুজের আবাদ হয়। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়। এ বছর চার হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে এক হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজের আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৯৪০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। আগাম জাতের তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে। রমজান সামনে থাকায় ভালো দামও পাবেন চাষিরা। আশা করছি প্রতি হেক্টর ২৫ থেকে ৩০ টন ফলন পাওয়া যাবে।