নেত্রকোনা জেলাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ২৮তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে তিনি এ দাবি জানান।

এবার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।

প্রতিবছরের মতো এবারও নেত্রকোনায় বসন্তবরণ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতাপাঠ, আলোচনা, পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ২৮তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব। নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ শহরের মোক্তারপাড়ার বকুলতলায় এই উৎসবের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠান মঞ্চে বিকেলে প্রধান অতিথি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কবি হাসান হাফিজের হাতে।

নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি সাংবাদিক এম কিবরিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক কবি তানভির জাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, মেজর (অব.) আবু বকর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান নুরু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার, জেলা নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি ফাহিম খান পাঠান প্রমুখ।

এর আগে আজ সকালে অনুষ্ঠানস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল মাসুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান।

এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ ২৭ বছর ধরে নেত্রকোনার কৃতী সন্তান দুই বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রয়াত খালেকদাদ চৌধুরীর নামে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এই উৎসবে প্রতিবছর শিল্প সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একজন কবি সাহিত্যিককে ‘খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়া হয়।

পুরস্কার পেয়ে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে কবি হাসান হাফিজ বলেন, এ জেলায় অনেক দেশবরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বাউল সাধক জন্ম নিয়েছেন এবং জেলা তথা দেশকে সম্মৃদ্ধ করেছেন। এ জন্য নেত্রকোনাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণার দাবি করছি এবং জেলাবাসীর এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি।