তনুর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে হত্যার হুমকি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/24/photo-1464098084.jpg)
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কামদা প্রসাদ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহের ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এ চিঠি পান কামদা প্রসাদ। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ডাকযোগে দুই পৃষ্ঠার এ চিঠিটি তিনি পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, চিঠিতে লেখা আছে, ‘ডা. কামদা প্রসাদ সাহা, আপনি তনু হত্যা মামলা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছেন, যা আপনার জন্য ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহজ মামলাটিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে জটিল করার চেষ্টা করবেন না।’
চিঠিতে আরো লেখা আছে, ‘আপনি কি চান আপনার পরিবার ও ছেলেমেয়ে ধ্বংস হয়ে যাক? এক ব্যক্তি বিশেষের পক্ষপাতিত্ব হয়ে নিজের জীবনকে কেন ধ্বংস করছেন?’
কামদা প্রসাদ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) মেডিকেল কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন তিনি।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ প্রথম ময়নাতদন্ত করে। পরে ডিএনএ আলামত সংগ্রহের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অনুরোধে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়।
গত ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তনুর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। এরপর সিআইডি তনুর মরদেহ ও তাঁর কাপড়-চোপড় পরীক্ষা করে জানায়, তনুর মৃতদেহে মোট চারজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি তনুর নিজের। অন্য তিনটি তিনজন পুরুষের।