নরসিংদীর ৭ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, ৫ প্রার্থীর বর্জন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/28/photo-1464447616.jpg)
জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে গোলাযোগের কারণে সাতটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট চলাকালে নির্বাচন বর্জন করেছেন পাঁচ প্রার্থী।
১২টি ইউনিয়নের মোট ১২১টি কেন্দ্রের ৭২৮টি ভোটকক্ষে ভোটাররা ভোট দেন। নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য মোতায়েন করা হয় বিপুল বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দুটি বাদে ১২ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৭১৯ জন। চেয়ারম্যান পদে ৪৫ জন, সংরক্ষিত আসনে ১১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪১২ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে লড়াই করেন।
কেন্দ্র দখল ও সিলমারার অভিযোগে আমদিয়া ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী আবু সিদ্দিক মিয়া, পাঁচদোনা ইউনিয়নে লাল মিয়া, নজরপুর ইউনিয়নে জালাল উদ্দিন সরকার ও মেহেরপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মনির হোসেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
মেহেরপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুল হাসান ও তাঁর সমর্থকদের ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাজি মো. বোরহান উদ্দিন ভূইয়া সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করেছেন।
নরসিংদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ কামাল পাঁচদোনার পাটুয়া কেন্দ্র থেকে পাঁচটি ককটেলসহ তিন ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করেছে।
বোমা বিস্ফোরণের আতঙ্কে হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ভোট গ্রহণ চলাকালে পাইকারচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী আবদুল কাদির বোমা হামলায় মারত্মক আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চিনিশপুর ইউনিয়নের পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অলি মিয়া নামে এক সদস্য প্রার্থীকে কয়েক ঘণ্টা আটক করে রাখে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা। এ সময় তারা অলি মেম্বারের ১৫ জন সমর্থককে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে আরিফ নামে এক ভোটকর্মীকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেলা ২টার দিকে পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
বোমাবাজি ও সহিংস ঘটনাসহ তথা সিল মারার অভিযোগে পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুরের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বটেরকান্দী ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র, চিনিশপুরের রেডিয়েন্টে কিন্ডারগার্টেন ভোটকেন্দ্র, দগরিয়া মদিনাতুল উলম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র, পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদি, আব্দুল্লাহকান্দী ও খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।