‘প্রাইভেটকার থেকে সাতজনকে মাইক্রোতে তোলা হয়’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/06/27/photo-1467028242.jpg)
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার একজন সাক্ষী র্যাব-১১ সাবেক নায়েক নাজিম উদ্দিন বলেছেন, ‘লিংক রোড থেকে দুটি প্রাইভেটকারে করে নিয়ে সাতজনকে সাদা পোশাকে কমান্ডার রানা ও মেজর আরিফের নেতৃত্বে দুটি মাইক্রোতে তুলে নেওয়া হয়।
পরে মাইক্রো দুটি চিটাগাং রোডের দিকে চলে যায়।’
আর পরিত্যক্ত সাদা প্রাইভেটকারটি মেজর আরিফের নির্দেশে সাক্ষী নিজে চালিয়ে গাজীপুরের এক ফাঁকা জায়গায় ফেলে আসেন।
অপর সাক্ষী সৈনিক মিলন হোসেন বললেন, ঘটনার দিন র্যাব-১১ হেডকোয়ার্টারের ফাঁকা জায়গায় হাবিলদার এমদাদ ও হাবিলদার বেলালকে রশি পাকিয়ে ইটের বস্তা তৈরি করতে দেখেন। ইটের বস্তাগুলো রাত সাড়ে ৯টায় মাইক্রো বাসে তুলে তাঁরা বেরিয়ে যান।
আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে নাজিম উদ্দিন ও মিলন হোসেন এসব কথা বলেন।
নাজিম উদ্দিন পদোন্নতি পেয়ে হাবিলদার হয়ে বর্তমানে র্যাব-১৩ রংপুরে কর্মরত। আর মিলন হোসেন গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত।
এদিকে এ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত। ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ৭৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হলো সোমবার।
সকাল ১০টা বাজার কিছুক্ষণ আগে প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হোসেন ও র্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং পরদিন আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়।