নিহত ‘জঙ্গি’ গুলশান হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/09/10/photo-1473526060.jpg)
রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা করিমের চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে।
আজ শনিবার রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় মিরপুরের রূপনগরে নিহত মেজর জাহিদুলের পরিবার লালবাগের আজিমপুরে বসবাস করছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দরজা খুলতে বলে। এ সময় ভেতর থেকে মরিচের গুঁড়ো, গুলি ও গ্রেনেড পুলিশের ওপর ছুড়তে থাকে তারা। তখন পুলিশ পাল্টা আক্রমণ করলে ঘটনাস্থলে একজন জঙ্গি নিহত হয় ও তিনজন নারী জঙ্গি আহত হয়। গোলাগুলির সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। একজনের বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ১৩ বছর, একজনের বয়স ৯ থেকে ১০ বছর ও একজনের বয়স এক বছর।’
পুলিশপ্রধান বলেন, গুলশান ঘটনার জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা বাড়ির মালিক করিম নামে যাকে খুঁজছিল পুলিশ, আজকে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে এই করিমের চেহারার অনেকটা মিল রয়েছে।
আজিমপুরে জঙ্গিদের ওই আস্তানা থেকে চারটি পিস্তল, বেশ কিছু ভিডিও সিডি, চারটি ল্যাপটপ ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি। তিনি জানান, এখন ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী কাজ করছে।
উদ্ধার হওয়া তিন শিশুর মধ্যে নিহত মেজর জাহিদের মেয়ে আছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শহীদুল হক বলেন, একজন থাকতে পারে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গুলিবিদ্ধ তিন নারীর মধ্যে মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় এক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন নারী ‘জঙ্গি’। সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এর আগে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আজিমপুরে ২০৯/৫ পিলখানা রোডের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরাইশী রাত সোয়া ৯টায় সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে এক পুরুষ জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন নারী জঙ্গি। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংবাদদাতা জানান, আজিমপুরের ঘটনার পর রাতে শারমিন (২৫) ও শায়লাসহ (৩৫) গুলিবিদ্ধ তিন নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। সেই সঙ্গে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আনা হয়। এর মধ্যে দুজন হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছেন। তিনজনের চোখে মরিচের গুঁড়ো লেগেছে।