বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না, দাভোসে প্রধানমন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/01/19/photo-1484826532.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমকি ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর উত্থাপিত একটি ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বখ্যাত পরিবেশবাদী আল গোরকে বাংলাদেশ সফরে এসে এই প্রকল্প দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, রামপালে কী ঘটছে তা দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসুন এবং নিজেই দেখুন এটি (বিদ্যুৎকেন্দ্র) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কি না।
শেখ হাসিনা ও আল গোর ছাড়াও এখানে দাভোসে বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস হলে ‘লিডিং দ্য ফাইট অ্যাগেইনস্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক এই অধিবেশনে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এলনা সোলবাগর, এইচএসবিসির সিইও স্টুয়ার্ট গাল্লিভার, কফকো এগ্রির সিইও জিংগতাও চি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি গোষ্ঠী এ নিয়ে অহেতুক ইস্যু সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আসলে কী চায় এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কী সেটা আমি জানি না। হতে পারে তাদের মনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই প্ল্যান্ট কেন এবং কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করবে এ ব্যাপারে রামপাল প্রকল্পবিরোধীরা কোনো যৌক্তিক কারণ তুলে ধরতে পারেনি। এমনকি তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের আহ্বানেও সাড়া দেয়নি।
বর্তমান সরকার পরিবেশ রক্ষায় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেকোনো বিষয়ে আমার চেয়ে আর কেউ অধিক উদ্বিগ্ন নন। কোনো প্রকল্পে কোনো রকম ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে তার অনুমতি আমি দেব না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের আউটার বাউন্ডারির ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের ৭০ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হবে। এ ছাড়া এটি হবে পরিচ্ছন্ন কয়লাভিত্তিক প্রকল্প। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এবং এর সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ এবং বসতি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে কাভার্ড বার্জে কয়লা আনা হবে। এতে লো সাউন্ড ইঞ্জিন ব্যবহৃত হবে। এর ফলে পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।