‘নির্বাচন বাতিল হোক, ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/12/30/photo-1546181909.jpg)
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘দেশের সব আসন থেকে একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে। এই পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে বলছি, এই নির্বাচন বাতিল করা হোক। আমরা এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করছি। অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
আজ রোববার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল করা হোক। আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রট এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, ‘আমরা প্রহসনের এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। অবিলম্বে পুনঃতফসিল ঘোষণা করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করছি।’
ড. কামাল বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের করণীয় নিয়ে বসব। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অতীতের শত তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও অনেক আশা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণার পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হবে না। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের কিংবা গ্রেপ্তার করা হবে না।’
প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, ‘আজ ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সমগ্র দেশবাসী যখন প্রস্তুত, তখনই আমরা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে একের পর এক খবর পাই যে, গতকাল রাতেই আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এবং নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখে।’
ড. কামাল বলেন আরো বলেন, ‘আজ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে এবং বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।’
এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পুরো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি নির্বাচন নয় প্রহসন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলেছে, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছিলাম। এই নির্বাচন প্রমাণ করছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন না যাওয়াটা সঠিক ছিল। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।