জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ভারতের

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে পাকিস্তান সফরে থাকা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কাশ্মীর প্রসঙ্গে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই উচিত সামরিক উত্তেজনা কমানো এবং কাশ্মীর ইস্যুতে ‘বৃহত্তর সংযম’ দেখানো।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে সবসময়ই টানাপোড়েন থাকলেও, গত বছর থেকে এই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে পুলওয়ামায় হামলার জের ধরে। এর মধ্যেই গত আগস্টের শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে ভারত সরকার, যা উত্তেজনা আরো দ্বিগুণ করে। শুধু পাকিস্তান নয়, এই সিদ্ধান্তের কারণে ঘরে-বাইরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে চারদিনের পাকিস্তান সফরে থাকা জাতিসংঘ মহাসচিব কাশ্মীর সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে সংযমী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই উচিত সামরিক উত্তেজনা প্রশমন করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে বৃহত্তর সংযম দেখানো। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রেখে সমাধানের লক্ষ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র উপায় কূটনীতি এবং পারস্পরিক সংলাপ।’
এদিকে এ প্রসঙ্গে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না ভারত। মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই থাকবে। প্রয়োজনে এ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো সুযোগ নেই।
এই অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাক-ভারত উত্তেজনা যে শিগগির কমছে না, তা মোটামুটি স্পষ্টই বলা চলে।