করোনা আতঙ্কে এবার বন্ধ হলো দার্জিলিং-কালিম্পং

করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবার পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পর্যটকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। আজ ১৯ মার্চ থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে সিকিমে বিদেশি পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় এবার সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ও সতর্ক হলো। সেখানকার বাসিন্দাদের সুরক্ষার কথা ভেবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে বন্ধ থাকবে পর্যটকের প্রবেশ।
মূলত করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় চরম পদক্ষেপ নিল পাহাড়ের জিটিএ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে থাকা পর্যটকদের হোটেল খালি করতে বলা হয়েছে। পাহাড়ের হোটেল মালিকদের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো অর্থ না কেটেই পর্যটকদের সব বুকিং বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে জিটিএর পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে গাড়িচালকদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন এ সময় কোনো পর্যটককে পাহাড়ে না নিয়ে আসেন।
এ সময় পাহাড়ে পর্যটনের মৌসুম শুরু হয়। ফলে চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পাশাপাশি এ মুহূর্তে পাহাড়ে কোনো সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আগেই সবার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে সিকিম। বিদেশি পর্যটক থেকে দেশীয় পর্যটক, এমনকি ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই পথে হেঁটেছে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামও। সেখানে একাধিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।