ভারতে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৯১৫২ জন, মৃত ৩০৮

ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খবর অনুযায়ী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৫২ জন। মারা গেছেন ৩০৮ জন। ৮৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
তবে ‘করোনা ভাইরাস ইন্ডিয়া’ অ্যাপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ২০৫ জনে। মারা গেছেন ৩৩১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৮০ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৭৯৬ জন। ভারতে এখন প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৯৮৫ জন। এর পরই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১৫৪ জন। এরপর তামিলনাড়ু রাজ্য। এ রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭৫ জন। এরপর পর্যায়ক্রমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজস্থানে ৭৭২ জন, মধ্যপ্রদেশে ৫৬৪ জন, গুজরাটে ৫১৬ জন এবং তেলেঙ্গানায় ৫০৪ জন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ জন আর মারা গেছে সাতজন।
ভারতে করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লক ডাউন শেষের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা দেওয়া লকডাউন শেষ হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে আজ নতুন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। এর আগে গত শনিবার তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। এরই মধ্যে ভারতের একাধিক রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর পথে হেঁটেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে মোট এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫৮৪ জনের শরীরে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস। অন্যদিকে ভারতের যেসব অংশ করোনা আক্রান্ত সেসব অংশকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করতে চাইছে কেন্দ্র। ভারতের যে অংশে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি সেটিকে রেড জোন, যেখানে এর চেয়ে কিছুটা কম সেটিকে অরেঞ্জ জোন এবং যেসব অংশে করোনার প্রকোপ নেই সেটিকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এতে লকডাউনে কিছু ছাড় দিতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণেও দিয়েছিলেন।
সুত্র জানায়, ভারতের ৪০০টি জেলা রয়েছে যেখানে এখনো করোনা আক্রান্তের কোনো খবর নেই। ওইসব জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। যেসব জেলায় ১৫ জনের থেকে কম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে ও রোগীর সংখ্যা আর বাড়ছে না তাকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এসব জায়গায় আংশিকভাবে যানবাহন চলাচল ও কৃষিকাজের অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে যেসব জায়গায় ১৫ জনের বেশি করোনা ভাইরাসআক্রান্তের হদিস মিলেছে সেই জায়গাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সেসব জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে।